শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম শাহাদাত বার্ষিকী

Photo of author

আরশাদ আল গালিব

আজ ১২ ডিসেম্বর, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম শাহাদাত বার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাঁর এই আত্মত্যাগ কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পরিচালিত মামলাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বহুল আলোচিত ঘটনা। ২০১৩ সালে তাঁর ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার সময় জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকার সংগঠন এই রায়ের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের আহ্বান ও অনুরোধ উপেক্ষা করেই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার ন্যূনতম সুযোগটুকুও তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাগুলো ন্যায়বিচারের প্রশ্নে নতুন মাত্রা যোগ করে এবং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার উপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বিতর্কের সূচনা করে। আব্দুল কাদের মোল্লা একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামী নেতা ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে দেশ, ধর্ম এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর জীবন আদর্শ ও ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ন্যায়, ধৈর্য এবং সত্যের পথে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা দেয়।

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদাত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যের জন্য সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যায় না। তাঁর এই ত্যাগ আমাদেরকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আদর্শিক সংগ্রামের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে। তিনি তাঁর জীবন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, একটি আদর্শের জন্য জীবন দান করাও মানুষের জন্য পরম গৌরবের বিষয় হতে পারে।

আজ তাঁর শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। একইসঙ্গে তাঁর আত্মত্যাগ ও ন্যায়ের প্রতি দৃঢ়তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। চলুন, আমরা সবাই মিলে ন্যায়, সত্য ও মানবাধিকারের পথে এগিয়ে চলার অঙ্গীকার করি। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা চিরজীবী থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।


“তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তাঁর জীবন আমাদের জন্য শিক্ষা।”

শহীদের স্মরণে

স্বপ্ন ছিল অটল, সাহসে ভরা,
ন্যায়ের জন্য তিনি লড়লেন সারা।
শহীদ কাদের, ত্যাগের প্রতীক,
তাঁর আদর্শে ধন্য এই ভূপৃথিবীক।

Leave a Comment