লুকিয়ে থাকে আগামীর স্বপ্ন নৈসর্গিক ছন্দের আবডালে…..

কোনো একটি দিন হয়তো এমন থাক, কুয়াশায় মোড়া চারদিক নিঝুম। এমন একটি দিনে, জানালার পাশে অস্পষ্ট কাঁচের মাঝে – ঐ দূর দিগন্তের ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টিতে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ আর হেজাজের কাফেলার স্বপ্নের প্লটে বিভোর হয়ে কেটে যাক সারা দিন। সন্ধ্যাের আলোছায়ার প্রগাঢ়তায় কিংবা বন্ধ ফোনের নিস্তব্ধতায়, কালো হরফের বিষন্নতায় ভরে উঠুক পাতা

টুকরো কথা

উল্টানো পাতা, নিরবতায় নিরবধি বিচ্ছিন্নতার মাঝে অজানাকে খুঁজে ফেরা.......

এক আকাশে ডানা মেলা পাখিদের উচ্ছ্বাসে, নিঃসীম আকাশ যেন ডাকে আমাকে। কাব্যে ছন্দে নীরবতার বরফে, আমি হারিয়ে যাই কোনো দূর দিগন্তের বাঁকে।

সুবহে সাদিকের মোহময় আলোয় খুঁজে ফিরি এক নব আলোকময় সকালের প্রতিচ্ছবি। প্রভাতের ছড়িয়ে থাকা শিশিরবিন্দু আর ডানা মেলা কুয়াশার ফেরে লুকিয়ে থাকে আগামীর স্বপ্ন নৈসর্গিক ছন্দের আবডালে…..

আমাদের সময়গুলো বড় অদ্ভুত! শূন্যতার মাঝে ছক বাঁধার বেড়াজালে বন্দি আমরা। এ ছক চাইলেও ভাঙতে পারা যায় না। একসময় হয়তো ছক বাঁধা জীবনে ফুরসত আসে, বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ওঠে। কিন্তু তখন আর সময় থাকে না!

শীতের দুপুরে, পড়ন্ত রোদের এক আলাদা ভালোলাগা আছে। নরম রোদের এই স্নিগ্ধতা পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ্য বিষয়। দরজার ফাক গলে দেয়ালের গায়ে পড়া রোদের মায়াময় ছোঁয়ায় ভুলে যাওয়া যায় শৈত্য প্রবাহের নিদারুণ ছোবলের শুষ্কতা।

এলোমেলো ছুটে চলা চাঁদের রোদ্দুর, ছুটন্ত পাখির ডানা, বাউলি বাতাসে দোলা নলখাগড়ার বন। অপূর্ব মায়ায় জড়ানো এক নিস্তব্ধ সময়ের স্রোতে অবিরাম ভেসে চলা অজানা কোনো দিগন্তের বাঁকে……

বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, কিংবা ল্যাম্পপোস্টের আলো আঁধারের মাঝে, পাওয়া না পাওয়ার ইতিহাস জমে রয় হলদে আলোর ভিড়ে…..

আমাদের সময়গুলো বড় অদ্ভুত! শূন্যতার মাঝে ছক বাঁধার বেড়াজালে বন্দি আমরা। এ ছক চাইলেও ভাঙতে পারা যায় না। একসময় হয়তো ছক বাঁধা জীবনে ফুরসত আসে, বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ওঠে। কিন্তু তখন আর সময় থাকে না!

সময় সমীপে

"
কোন এক অপার্থিব কিংবা অতি সাধারণ রাতের নিস্তব্ধতায় দস্তয়েভস্কির ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’ দিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিলো রুশ সাহিত্যের ধ্রুপদী আবহে। মাঝে লম্বা এক বিরতি। ছুটে চলা ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথের ছন্দময়তা যেন আমায় আবার টেনে আনে সেই কালান্তরের নিকটে, যেখানে দস্তয়েভস্কির মনস্তাত্ত্বিক দহন, তলস্তয়ের মহাকাব্যিক বিশালতা, পুশকিনের রোমান্টিক বিষাদময় চোখ আর চেখভের জীবনের হাহাকার মিশে থাকে সময়ে। ততদিনে অবশ্য আমার সময়ের অনেক বড় পরিবর্তন হয়েছে। রিডিং ব্লকে জর্জরিত এক ছটফট করা আত্মা কে পথে নিয়ে আসার তীব্র চেষ্টা করছে নসীম হেজাযীর শাব্দিক মোহময়তা। আস্থিরমতি এক শ্রান্ত প্রাণ কে দুদন্ড শান্তি দিতে জীবনানন্দের সেই ঢেউখেলা সময়ে হয়তো আবির্ভাব আবার সাইবেরিয়ান তুষারপাতের।
"
- কোন এক অপার্থিব
"
দিগন্তের ওপারে সূর্য তখন অস্তমিত প্রায়। গ্রানাডার সেই রক্তিম আকাশের মতোই আজ আমাদের জীবনের আকাশটাও বিষাদগ্রস্ত। দূরে কোথাও একাকী কোনো অশ্বারোহীর ক্ষুরধ্বনি শোনা যায় না ঠিকই, কিন্তু বিবেকের পতনধ্বনি আমাদের জর্জরিত করে বারংবার!
হেলে পড়া মিনারের জীর্ণ পাথরগুলো তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে? ওরা কোনো কথা বলছে না, কিন্তু জীর্ণ নীরবতাই যেন ফুটিয়ে তুলছে হাজার বছরের এক করুণ আর্তনাদ...
"
- দিগন্তের ওপারে
"

পথশেষে ক্লান্ত এক পথিক, নিরন্তর খুঁজছে পথের দিশা। জীবনের প্রতিটি মোড়ে, অসীম আশার আলো তার পথচলাকে আলোকিত করছে। সে চলতে চলতে হারিয়ে ফেলে নিজের পথ, কিন্তু হারায় না আশা। অবশেষে খুঁজে পায় সে শান্তির আশ্রয়, যেখানে স্বস্তি আর প্রশান্তি মেলে। জীবনের অর্থ খুঁজে পায় নতুন করে।

"
- পথশেষে ক্লান্ত এক পথিক
"
বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, কিংবা ল্যাম্পপোস্টের আলো আঁধারের মাঝে, পাওয়া না পাওয়ার ইতিহাস জমে রয় হলদে আলোর ভিড়ে.....
"
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
"
এলোমেলো ছুটে চলা চাঁদের রোদ্দুর, ছুটন্ত পাখির ডানা, বাউলি বাতাসে দোলা নলখাগড়ার বন। অপূর্ব মায়ায় জড়ানো এক নিস্তব্ধ সময়ের স্রোতে অবিরাম ভেসে চলা অজানা কোনো দিগন্তের বাঁকে......
"
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
" কোনো একটি দিন হয়তো এমন থাক, কুয়াশায় মোড়া চারদিক নিঝুম। এমন একটি দিনে, জানালার পাশে অস্পষ্ট কাঁচের মাঝে - ঐ দূর দিগন্তের ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টিতে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ আর হেজাজের কাফেলার স্বপ্নের প্লটে বিভোর হয়ে কেটে যাক সারা দিন। সন্ধ্যাের আলোছায়ার প্রগাঢ়তায় কিংবা বন্ধ ফোনের নিস্তব্ধতায়, কালো হরফের বিষন্নতায় ভরে উঠুক পাতা "
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৫