বিএনপি এখনো মিডিয়া ট্রায়ালের স্বীকার হচ্ছে এটা যেমন সত্যি, তেমনি এদের হাইকমান্ড যে অযোগ্য সেটাও সত্যি।
ওনাদের উচিত আপাততঃ নিজেদের কমিটিগুলো ঠিক করে আগামী নির্বাচনে যাতে সুসংগঠিত ভাবে দাঁড়াতে পারে সেদিকে নজর দেয়া। ১৫ বছরের ভঙ্গুর দশা কাটানো উচিত।
মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। পরিবার আর চেহারা দেখে ভোট দেয়ার দিন সম্ভবত খুব বেশিদিন থাকবে না।
আপনারা চাইলে জামায়াতের কর্মকাণ্ড গুলো ফোকাস করতে পারেন। জামায়াত চাইলে প্রথম দিনই স্বৈরাচারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আবেদন করতে পারতেন, কিংবা প্রায় ১ যুগের অধিক কাল বন্ধ থাকা কার্যালয় খুলে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করতে পারতেন।
কিন্তু না তারা সেটা করেন নি, জামায়াতের আমির সহ হাইকমান্ড ছুটে গিয়েছিল শহীদ আবু সাঈদ ভাইয়ের বাড়ি আর শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ছুটে গিয়েছিল হাসপাতালে।
এরপর থেকে প্রতিদিন নতুনভাবে শিরোনামে আসছে জামায়াত। প্রতিটিই প্রশংসনীয় কাজ। অর্থাৎ মানুষের পালস ভালোভাবেই তারা অনুধাবন করে দেশ গড়ার কাজে শামিল হয়েছেন। এটা মানুষ মনে রাখবে।
এইটা সকল মজলুম রাজনৈতিক দলের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ১৫ বছরের জুলুমে বিপর্যস্ত দলের খোলনলচে বদলে একদম নতুন রূপে গড়ে তোলা, চেইন অফ কমান্ড সুসংহত করা।
সর্বোপরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না করে সহযোগীতা করা ও যৌক্তিক সমালোচনা করে তাদের ভূলত্রুটি তুলে ধরা এখন তাদের অন্যতম দায়িত্ব।
আশা করি সকল রাজনৈতিক দল ধৈর্য, সহিষ্ণুতা বজায় রেখে দেশের সার্বিক মঙ্গলের লক্ষ্যে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যাবে। দলের আগে দেশ এই মূলমন্ত্র যেন সবাই ধারণ করে চলতে পারে এটাই কাম্য।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ছাত্র জনতার বিপ্লব সাফল্যমন্ডিত হোক।